গ্রাম পাঠাগার আন্দোলনের নানামুখী পদক্ষেপের মধ্যমে গ্রামেগঞ্জে পাঠাগার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি শিল্প সাহিত্য এবং সংস্কৃতি চর্চা নিয়ে বেশ কিছু কার্যক্রম অনেক দিন ধরেই পরিচালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রাম পাঠাগার আন্দোলনের অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক সহযোগী সংগঠন প্রজন্মের উদ্যোগে দেশীয় বাদ্যযন্ত্র শেখার উদ্দেশ্যে ‘গগন হরকরা দোতারা শিক্ষাবৃত্তি’র আয়োজন করা হয়েছে।
প্রথমবারের মত দোতারা শেখার জন্য “গগন হরকরা দোতারা শিক্ষাবৃত্তি”র জন্য মনোনীত হয়েছেন গঙ্গাফড়িং শিল্পীগোষ্ঠী, ভূঞাপুর টাঙ্গাইলের পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস। শিক্ষাবৃত্তির অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক সংগঠন প্রজন্মের পক্ষ থেকে একটি দোতারা উপহার হিসেবে পৌছে দেয়া হয় গঙ্গাফড়িং শিল্পীগোষ্ঠিকে। পুরো কার্যক্রমের মধ্যে এই অন্যন্য উপহারটি আরো গতির সঞ্চার করবে বলেই আমাদের সকলের বিশ্বাস।
অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রজন্মের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ভালবাসা। প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের এই বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাকে এত দ্রুত বাস্তবায়ন করার উদ্যোগটি সত্যিই আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে। আমাদেরকে কৃতজ্ঞতার বাধনে আবদ্ধ করেছে।
‘আমি কোথায় পাবো তারে আমার মনের মানুষ যেরে’ গগন হরকরার এই বিখ্যাত বাউল গানের সুরে কবিগুরু লিখেছেন ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ যা রক্তস্নাত আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমির জাতীয় সংগীত। তাই এই ভূমিপুত্র গগন হরকরাকে শ্রদ্ধা জানাতে আমরা এই বৃত্তির নামকরন করেছি “গগন হরকরা দোতারা শিক্ষাবৃত্তি”।
এই শিক্ষাবৃত্তির কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে ফেসবুক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক কমিউনিটি প্লাটফরম দোতারা বাজাই। দোতারা প্রশিক্ষন ও দোতারা চর্চার কার্যক্রমকে সামগ্রিকভাবে উৎসাহিত করতে গ্রাম পাঠাগার আন্দোলন এবং দোতারা বাজাই এর মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তিস্বাক্ষরের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে দোতারা বাজাই কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মাসফিক সোয়াদ এবং গ্রামপাঠাগার আন্দোলনের সংগঠক আবদুস ছাত্তার খান এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।
গগন হরকরা দোতারা শিক্ষাবৃত্তির কার্যক্রমে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহন করায় দোতারা বাজাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ প্রজন্মকে। ধন্যবাদ দোতারা বাজাই ফেসবুক গ্রুপকে। ধন্যবাদ গ্রাম পাঠাগার আন্দোলনের সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের।